পৃষ্ঠাসমূহ

১২ এপ্রিল ২০১১

রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

১৮৮৫ সালের ১২ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন প্রত্নতত্ত্ব, উত্কীর্ণ লিপিতত্ত্ব ও প্রাচীন হস্তলিপি বিষয়ের পথপ্রদর্শক ও সাহিত্যিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মতিলাল ও কালিমতি ছিলেন তার পিতামাতা রাখালদাস ১৯০৭ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক এবং ১৯১০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন
মহেঞ্জোদারোর আবিষ্কর্তা হিসেবেই তিনি বহুল পরিচিত তিনিই প্রথম আদি বাংলালিপির প্রতি পণ্ডিতদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভারতীয় মুদ্রা গবেষণার ক্ষেত্রে ‘প্রাচীন মুদ্রা, প্রথম পর্ব (বাংলায় লিখিত)’ ছিল রাখালদাসের একটি বড় অবদান
ভারতীয় শিল্পকলার চর্চায় রাখালদাসের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য কীর্তি হলো তার মৃত্যুর পর ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত ইস্টার্ন ইন্ডিয়ান মেডিয়েভাল স্কুল অব স্কাল্পচার গ্রন্থটি আরেকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ দ্য অরিজিন অব দ্য বেঙ্গলি স্ক্রিপ্টসের জন্য ১৯১৩ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মর্যাদাকর জুবিলী গবেষণা পুরস্কার লাভ করেন পশ্চিম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রত্নতাত্ত্বিক হিসেবে তিনি গ্রিক বিজয়স্তম্ভের সন্ধানে সিন্ধু অঞ্চলে গিয়েছিলেন এবং ঢিবির শীর্ষদেশে বৌদ্ধবিহারের খননকালে তিনি এমন কতগুলো নিদর্শনের সন্ধান পান যা তাকে হরপ্পায় সাহানী কর্তৃক প্রাপ্ত অনুরূপ নিদর্শনের কথা মনে করিয়ে দেয় এ সভ্যতা সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ রয়েছে বেশ কিছু প্রবন্ধ ও গ্রন্থে

১৯১০ সালে রাখালদাস কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা এবং ১৯১১ সালে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগে সহকারী তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগদান করেন পরবর্তী সময়ে তত্ত্বাবধায়ক পদে পদোন্নতি লাভ করেন এছাড়া ১৯২৮ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অধ্যাপক পদে যোগ দেন ১৯৩০ সালের ২৩ মে কলকাতায় তিনি পরলোকগমন করেন